বরেন্দ্র নিউজ ডেস্ক:
দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে আবাসিক হলের তালা ভেঙে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন ছাত্রীরা।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টায় বেগম সুফিয়া কামাল হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও প্রীতিলতা হলের তালা ভেঙে ছাত্রীরা রাস্তায় নেমে আসেন। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা বিভিন্ন হলে হলে যাচ্ছেন।
এর আগে রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।
মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ছাত্রী হল এলাকায় পৌঁছায়।
এদিকে, সাড়ে ৯টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ থেকে চার শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন- সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল রানা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন তুহিন, সদস্য অধ্যাপক মাহবুব কবির ও অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দিয়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে আবাসিক হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে নির্দেশ উপেক্ষা করে অনেক শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করছেন। তবে অনেকে ক্যাম্পাসও ছেড়েছেন।
মঙ্গলবার রাত ১১ টা পর্যন্ত ছেলেদের ৮ টি হলের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী হল ছেড়ে যাননি। তবে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি হল ছেড়েছেন।
এদের বেশির ভাগই বিশ্ববিদ্যালয় আশপাশের মেস ও স্বজনদের বাসায় উঠেছেন। তাদের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হলে থাকার বিষয়ে তাঁরা ছাত্রলীগের হামলা ও পুলিশি হয়রানিকে ভয় করছেন।
দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে জাবি উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে তার বাসভবনে অবরুদ্ধ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি অবস্থান নেন উপাচার্যপন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রলীগসহ উপাচার্যপন্থীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
এ হামলার ঘটনায় আন্দোলনকারী শিক্ষক, ছাত্রী এবং দায়িত্বরত তিন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীসহ ৭-৮ জন বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা।
Leave a Reply